পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তি শনাক্ত, খুজছে পুলিশ


সকালের-সময় রিপোর্ট  ২১ অক্টোবর, ২০২১ ২:৫০ : পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তিকে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিট কাজ করছে। ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। ইকবাল হোসেন কুমিল্লা মহানগরীর সুজানগর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে দেখা যাচ্ছে এক যুবক মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে রাস্তার দিকে আসছে। কিছুক্ষণ পর (প্রায় এক ঘণ্টা পর) দেখলাম তার হাতে কোরআন শরিফ নেই। হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে তিনি ঘোরাঘুরি করছেন।

তিনি বলেন, আমি গতকালও বলেছি তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই যুবক মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে তাকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিলো না। এখন পর্যন্ত তিনি ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছি। যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের ডিআইও-১ মো. মনির আহমেদ বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় নানুয়ার দিঘির উত্তর-পূর্বদিকে সড়কে রাত সোয়া ৩টার দিকে এক যুবক হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। ওই যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি যে মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখেছেন সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হয়েছে। তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৩ অক্টোবর রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মসজিদ থেকে ওই যুবক কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে বের হয়ে আসছেন। এরপর রাত ২টা ১১ মিনিটে তিনি মসজিদ থেকে মূল সড়কে উঠে মন্দিরের দিকে হেঁটে যান।

আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টা ১২ মিনিটে যুবকটির হাতে কোরআন শরিফ নেই। তিনি এসময় গদা কাঁধে নিয়ে মন্দিরের পাশে পুকুরপাড়ের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এসময় তিনি চারপাশে তাকিয়ে দেখছিলেন কেউ তাকে দেখছে কি-না।

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন থানায় আট মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়ে। এরমধ্যে কোতোয়ালী মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি ও দাউদকান্দি থানায় একটি মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুমিল্লার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় উপাসনালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

সকালের-সময়/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ