তিন দেশে মার্কিন সামরিক সহায়তার সমালোচনায় পুতিন


আমাদের বিশ্ব ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০৩ : অপরাহ্ণ

ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের সমালোচনা করেছে রাশিয়া। মার্কিন এই সামরিক সহায়তা বিশ্বব্যাপী সংকট আরও ঘনীভূত করবে বলে মন্তব্য করেছে মস্কো। খবর আলজাজিরার।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন সারা বিশ্বে সংকটকে আরও গভীর করবে।

তিনি বলেন, কিয়েভ সরকারকে সামরিক সহায়তা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা। তাইওয়ানকে দেওয়ার মানে হলো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। আর ইসরায়েলকে দেওয়ার মানে হলো সরাসরি উসকানির পথে হাঁটা। এই সহায়তার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নজিরবিহীন হারে বৃদ্ধি পাবে।

এর আগে গতকাল শনিবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে বহুল আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দেয় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। কট্টর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এই প্যাকেজের বিরোধিতা করলেও বড় ধরনের দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েই শনিবার বিলগুলো পাস হয়েছে।

শনিবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদে এসব বিলের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে ৩১১-১১২ ভোটে বিল দুটি পাস হয়েছে। এতে ১০১ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দিলেও ১১২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

সহায়তা বিলে ইউক্রেনের জন্য ৬০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন, ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন এবং তাইওয়ানসহ ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কংগ্রেসে সহায়তা বিল পাস হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইতিহাসকে সঠিক পথে রাখতে অগ্রসর হয়েছেন।

গত দুই মাস ধরে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে এই সহায়তা বিল পাস করানোর চেষ্টা করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের বিরোধের জেরে এই প্যাকেজ সামনে অগ্রসর হয়নি। বিশেষ করে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল রিপাবলিকানদের।

তবে এবার প্রতিনিধি পরিষদে প্যাকেজটি পাস হওয়ায় তা ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে এটি পাস হলে তা বাইডেনের কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি সই করলে বিলগুলো আইনে পরিণত হবে। ফলে এই তিন দেশকে এই সহায়তা দিতে আর কোনো বাধার মুখে পড়বে না মার্কিন প্রশাসন।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ