কাপ্তাইয়ে কুড়িয়ে পাওয়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে বাবা-ছেলের মৃত্যু


নিউজ ডেস্ক  ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ৫:৪৮ : অপরাহ্ণ

জঙ্গলে কুড়িয়ে পাওয়া গ্রেনেড বাড়িতে নেওয়ার পর রান্না ঘরের আগুনের গরমে তা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়েছেন বাবা ও ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মাও। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ৩ নম্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাদশা মাঝির টিলায় এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইসমাইল মিয়া (৪৫) ও তার সাত বছর বয়সী শিশু পুত্র মো. রিফাত। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত ইসমাইল মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগম (৩৫)। তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন স্থানীয় কয়েকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ইসমাইল মিয়া কাপ্তাইয়ের জীবতলী এলাকা জঙ্গল থেকে একটি গ্রেনেড প্লাস্টিকের বস্তায় কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সেগুলো রান্না ঘরের চুলার পাশে গরম করতে রাখেন।

এ সময় তার ছেলে রিফাত ও স্ত্রী রান্না ঘরেই ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইসমাইল মিয়া ও তার ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্ত্রী সখিনা বেগমকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুখ রনি জানান, তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে দুইজন আগেই মারা গেছেন। আর আহত সখিনা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেন বলেন, পুরাতন গ্রেনেড বিস্ফারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে সেনাবাহিনীর একটি বিস্ফোরক টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

সকালের-সময় ডটকম

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ