বিষয় :

বাংলাদেশক ঘিরে উজ্জ্বল সম্ভাবনায় পরিবেশ বান্ধব বায়ু বিদ্যুৎ


১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ৩:২৩ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: এবার বায়ু বিদ্যুতেও উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশকে ঘিরে। সম্প্রতি সারা দেশে বাতাসের গতি প্রকৃতি, চরিত্র এবং প্রাপ্যতা বিষয়ে চালানো জরিপের প্রেক্ষিতে এমন আশা করছে টেকসই জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্রেডা। এখন যাচাই বাছাই করে উদ্যোগ নেয়া হবে বিনিয়োগ আকর্ষণের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়ায় একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যম বাতাস চালিত এসব যন্ত্র। যেখানকার সত্তরটি পাখা ঘুরিয়ে পাওয়া প্রায় দুই মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ ব্যাটারিতে ধারণ করে গ্রাহককে দেয়া হয় চাহিদা অনুযায়ী।

দেশে প্রথম এ ধরনের প্রযুক্তির যাত্রা শুরু বেশ কয়েক বছর আগে এই কুতুবদিয়াতেই। কিন্তু এখনো মোট উৎপাদন পৌঁছায়নি তিন মেগাওয়াটেও। নতুন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশকে ঘিরে। সম্প্রতি দেশের নয়টি স্থানে বায়ু জরিপ বা উইন্ড ম্যাপিং করে সেরকমই ইঙ্গিত পেয়েছে স্রেডা। এতে, রংপুরে ৮০ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গতিবেগ পাওয়া গেছে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫ মিটার হারে। ময়মনসিংহে এই হার সাড়ে চারের বেশি। রাজশাহীতেও প্রায় একই রকম। তবে, সিলেটে একই উচ্চতায় গতি ছিল কিছুটা কম। অন্যদিকে, চাঁদপুরে বাতাসের গতি ছিল প্রায় ৬ মিটার প্রতি সেকেন্ডে।

ছয়ের ওপরে ছিল সীতাকুণ্ডু, পারকি বিচ এবং ইনানী বিচের বাতাসের গতি। আর মংলায় এই গতি ছিল ছয়ের কাছাকাছি। পরিবেশ বান্ধব, সাশ্রয়ী এবং টেকসই উৎস হিসেবে স্বীকৃত এই মাধ্যম। যা থেকে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ এসেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মেগাওয়াট, বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এই গতির সাথে বাংলাদেশ এগুতে না পারলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সম্ভাবনা কাজে লাগানোই এখন হওয়া উচিত প্রধান লক্ষ্য। দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনায় বায়ু বিদ্যুতকেও রাখা হয়েছে উৎপাদনের বড় উৎস হিসেবে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ