বিষয় :

মন্ডপে মন্ডপে উদযাপিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা


সকালের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১:৩১ : অপরাহ্ণ
মন্ডপে মন্ডপে সরস্বতী পুজা

ধর্ম ডেস্ক : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। আজ (শনিবার) সকাল থেকে সারাদেশের মন্ডপে মন্ডপে ও নিজ নিজ বাড়িতে সরস্বতীর পূজা উদযাপন হচ্ছে।

তবে করোনার কারণে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধি-নিষেধ মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবারের পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। আজ সকাল ৭টা ৭ মিনিটে শুরু হয় পঞ্চমী তিথি। আগামীকাল রবিবার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে।

সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় এ উৎসবটি শনিবার সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভক্তদের বাসা ও পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহণ করেন। তাছাড়া এদিনে অসংখ্য শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়।

শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী, মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক।

কল্যাণময়ী, ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী সরস্বতীর আরাধনা করেন।

বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়ে থাকলেও নভেল করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ বছর পূজামণ্ডপে সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে।

সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে। তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন বলে জানা যায়।

সরস্বতী দেবী শ্বেতশুভ্র বসনা। দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা। এ জন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়। সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী তার আশীর্বাদের মাধ্যমে মানুষের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করতে প্রতি বছর আবির্ভূত হন ভক্তদের মাঝে।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখন্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন।

দেবীর এই পূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের বিভিন্ন পুজা মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের ঢল নামে। পূজাকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠে সনাতন ধর্মালম্বীরা।

চট্টগ্রামের পটিয়া খরনা ইউনিয়নের পশ্চিম মুজাফরাবাদ সেন বাড়ির ঐতিহ্যবাহী নারায়ণ মন্দিরের পুরোহিত কাজল জানায়, মায়ের কাছে বিদ্যা বুদ্ধিদানের পাশাপাশি রোগশোগ থেকে মুক্তিলাভের প্রার্থনা করা হয়েছে। সবাই যেন ভালো থাকে এ জন্য মায়ের চরণে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এস এস/

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ