বিষয় :

কারবালার ময়দানে হাজার হাজার শিয়া মুসলিমের আর্তনাদ


সকালের-সময় নিউজ ডেস্ক ৩০ আগস্ট, ২০২০ ১২:৪৯ : অপরাহ্ণ

আশুরা উপলক্ষ্যে ইরাকের কারবালায় ইমাম হোসেন ও ইমাম আব্বাসের মাজারে জড়ো হয়েছেন হাজারো শিয়া মুসলিম। ইমাম হোসেনের শাহাদাত স্মরণে তাজিয়া মিছিল বের করেন তারা। এসময় নিজেদের শরীরে ছুরির গোছা দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। মাতম করেন, ইয়া হোসেন, ইয়া হোসেন বলে।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আকারে তাজিয়া মিছিল হয়েছে ইরান, পাকিস্তানে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পবিত্র আশুরা পালিত হয়।

প্রসঙ্গত, হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।

কারবালার শিশু শহীদ হযরত আলী আসগর (আ.) স্বরনে মায়েদের আর্তনাদ

আজ হতে ১৩৭৮ চন্দ্র-বছর আগে ৬০ হিজরির এই দিনে পবিত্র মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন কারবালার শিশু শহীদ হযরত আলী আসগর (আ.)। তিনি ছিলেন বিশ্বনবী (সা.)’র নাতি হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। শাহাদতের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ছয় মাস। কারবালায় তাঁকে দাফন করা হয়েছিল পিতার সঙ্গেই।

কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনীর পানি-অবরোধের কারণে এই শিশু যখন তৃষ্ণায় ছটফট করছিলেন তখন ইমাম হুসাইন (আ.) এই শিশুকে কোলে নিয়ে তাঁর জন্য পানি চান। পাষাণ-হৃদয় ইয়াজিদ সেনাদের একজন তিন শাখা-বিশিষ্ট একটি তীর নিক্ষেপ করলে তা তাঁর নরম গলা ভেদ করে। এই পাষণ্ড ঘাতকের নাম ছিল হারমালা বিন কাহিল। বলা হয়ে থাকে ইমাম তাঁর কয়েক ফোটা রক্ত আকাশের দিকে নিক্ষেপ করলে তা কখনও মাটিতে ফিরে আসেনি। বীর মুখতার কয়েক বছর পর হারমালাকে হত্যা করেছিলেন দূর থেকে গলায় ছুরি নিক্ষেপ করে যা এই পাষণ্ডের গলা বিদ্ধ করেছিল।

প্রতি বছর মহররমের সময় বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান হযরত আলী আসগর (আ.)’র শাহাদত দিবস পালন করেন শোক মিছিলে শূন্য ও রক্তমাখা দোলনা দুলিয়ে। শোকার্ত মায়েরা তাদের শিশুকে কোলে নিয়ে এই শোক মিছিলে অংশ নেন। ফলে সৃষ্টি হয় হৃদয়-বিদারী শোকের পরিবেশ। এ ছাড়াও তারা এ সময় শিশু ও অন্যদের মধ্যে দুধ বিতরণ করে থাকেন।

হযরত আলী আসগর (আ.)’র মায়ের নাম ছিল রোবাব। তিনি ছিলেন কিন্দা গোত্রের প্রধানের মেয়ে। এই শিশুর হত্যাকাণ্ড ইয়াজিদ বাহিনীর বর্বরতা ও পৈশাচিকতার কিছু অংশকে তুলে ধরলাম। বছর ঘুরে সে দিনটি এলেই অশ্রুসজল হয় কারবালা। করোনা মহামারির মধ্যে এ বছর দিনটি এসেছে ভিন্নভাবে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ