বিষয় :

উম্মুক্ত স্থানে নয় এবার ঈদের জামাত হবে মসজিদে, কোলাকুলি নিষেধ


সকালের-সময় রিপোর্ট  ১৫ মে, ২০২০ ৩:০৯ : পূর্বাহ্ণ

খোলামাঠ বা উম্মুক্ত স্থানে নয়, এ বছর ঈদের জামাত হবে মসজিদে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। করা যাবে না কোলাকুলি। হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৪ বা ২৫ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়ানো করোনাভাইরাসের কারণে এবার ঈদের পরিবেশ ভিন্ন। করোনার বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে ছুটি চলছে। এক মাস বন্ধ ছিল মসজিদের সাধারণ মুসল্লিদের প্রবেশ।

গত ৭ মে থেকে ১২ শর্তে মসজিদে সাধারণ মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ঈদের জামাতেও এসব শর্ত মেনে চলতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে, এবছর ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

আদেশে বলা হয়েছে, ঈদের জামাতে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মসজিদের মসজিদের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে কাতার করতে হবে।

শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনও অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ঈদ জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আদেশে।

সকালের-সময়/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ