৭২ হাজার মেট্রিক টন সার আত্মসাৎ–বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ


নিউজ ডেস্ক  ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:২৭ : অপরাহ্ণ

সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি) ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

একই সঙ্গে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ’ শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনলে এ আদেশ দেন আদালত।

প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।

মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।

পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে’র মধ্যে । সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি।

সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ