দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমকর্মীসহ সবার বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বিশেষ করে (বাংলাদেশে) নির্বাচনের বছরে।
সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসা হয় এবং শামসসহ প্রথম আলোর সম্পাদকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বুধবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদাপোশাকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর ওই পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে) মামলা করেছে। এ মাসের শুরুর দিকে আল-জাজিরার একজন প্রতিবেদকের ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, মোটাদাগে আমি যেটা বলতে চাই, তা হচ্ছে সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার নিয়ে আমরা আগের মতোই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমসহ সবার বাক্স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বিশেষ করে নির্বাচনের মতো বছরে। দায়িত্ব পালনের কারণে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে হুমকি, হেনস্তা, শারীরিকভাবে আক্রমণ অথবা গ্রেফতার করা উচিত নয়।
পরে ওই সাংবাদিকের ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংক্রান্ত আরেকটি প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত চিঠির ব্যাপারে আমরা অবগত আছি।
তিনি আরো বলেন, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মতো আমরাও অধ্যাপক ইউনূসের বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্বীকার করি। তার নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ আরো অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে এ মুহূর্তে নির্দিষ্টভাবে বলার মতো কিছু নেই।
এসএস
