এবার কক্সবাজার সৈকত গেলে মানতে হবে ১০ নির্দেশনা


সকালের-সময় রিপোর্ট 

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:২২ : পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামতে হলে পর্যটকদের এখন থেকে ১০ নির্দেশনা মানতে হবে। সাগরে গোসল করতে নেমে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা কমাতে এসব নির্দেশনা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

সৈকতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে ১০ নির্দেশনা নিয়ে শুক্রবার থেকে ১০ দিনব্যাপী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সৈকতের গুপ্ত গর্ত ও প্রবল স্রোত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

পর্যটকদের জন্য নির্দেশনাগুলো হলো:

সাঁতার না জানলে সমুদ্রের পানিতে নামার সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে। লাল পতাকা চিহ্নিত পয়েন্টে গোসল করতে নামা যাবে না। লাইফগার্ড নির্দেশিত নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোনো পয়েন্টে সমুদ্রে নামা যাবে না। সৈকত এলাকায় সবসময় লাইফগার্ডের নির্দেশনা মানতে হবে।

বিকেল ৫টার পর সমুদ্রে নামা যাবে না। সমুদ্রে নামার আগে জোয়ার-ভাটাসহ আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে হবে। জেট স্কি, ব্যানানা বোট বা অন্য যেকোনো ভাসমান বস্তু নিয়ে পানিতে নামার আগে বাতাসের গতি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

সৈকতে শিশুদের সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। শিশুকে একা সমুদ্রে নামতে দেওয়া যাবে না। অসুস্থ অথবা দুর্বল শরীর নিয়ে সমুদ্রে হাঁটু পানির বেশি নামা যাবে না।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে সারাবছরই লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসেন। কিন্তু একটু অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনায় অনেক পর্যটকের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। যেটা আমাদের কারও কাম্য নয়। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধ করতে ১০ নির্দেশনা দিয়ে সৈকতে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে বা নিয়ম মেনে সৈকতে গোসলে নামলে সহজেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অনেক পর্যটক নির্দেশনা মানতে চায় না।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ