৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে “ফনী”


৪ মে, ২০১৯ ১২:২২ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: ভারত থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের স্থলভাগে (চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা) অঞ্চলে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি আর ৫ ঘন্টা পর ঘূর্ণিঝড় হিসেবে থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক হয়ে ভারতের আসাম মেঘালয়ে প্রবেশ করবে।

এর গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টায় সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর অঞ্চলে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়লেও এখনো বাংলাদেশের স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই অবস্থান করছে ফণী। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

যেহেতু এটি বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তার যাত্রাপথে যেসব এলাকা পড়বে সেখানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। তার সঙ্গে ভারী বর্ষণও হতে পারে বলেও জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ। ইতিমধ্যে রংপুর, রাজশাহীতে ভারি বর্ষণ হয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় আজ বৃষ্টি থাকবে। এছাড়া দুপুরের পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

তবে যতখানি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল তার থেকে অনেকখানিই পরিত্রাণ মিলেছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ধীরে ধীরে বাতাসের গতিবেগ কমে আসছে এবং ঝড় মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগও যথাযথ ছিল, তাই অনেকটা এড়ানো গেছে।

উল্লেখ্য, র্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তবে রোববার (৫ মে) বিকেলের পর থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে অনুরোধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ