মানুষের জীবন বাঁচানো চিকিৎসকের দায়িত্ব: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী


১০ মে, ২০১৯ ১০:৫৯ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট::  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে হাসপাতালটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আড়াইশ শয্যার আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চমেক হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ রয়েছে, সেখানে বাইপাস সার্জারি, এনজিওগ্রামের পাশাপাশি রিং পরানো হচ্ছে। ঢাকার বাইরে একমাত্র এ হাসপাতালে এসব সুবিধা রয়েছে। পাশাপশি এ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগটি অত্যন্ত আধুনিক। পর্যাপ্ত জনবলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বিভাগটিতে।

ক্যান্সার বিভাগে রেডিওথেরাপি মেশিন রয়েছে। ব্র্যাকিথেরাপি সেবাও পাচ্ছেন রোগীরা। পাশাপাশি আরও কয়েকটি মেশিনের চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম একটি শিশু হাসপাতাল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে জায়গা নির্ধারণ না হওয়ায় সেটির কাজ শুরু হচ্ছে না।

এ হাসপাতালে শয্যা রয়েছে তেরশটি। অথচ রোগী ভর্তি থাকেন আড়াই থেকে তিন হাজার। সুতরাং সংকট থাকবে। তবে সংকট নিরসনে কাজ চলছে। অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু জায়গার সংকট রয়েছে। কীভাবে সহজে সংকট কাটিয়ে উঠা যায় সেটি নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে এ অঞ্চলের চিকিৎসা সেবায় সংকট থাকবে না উল্লেখ করে ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে সেখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসাসেবা মিলবে। তখন সংকট থাকবে না।

সারাদেশের চিকিৎসার সেবার মান উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব চিকিৎসক যোগ দেয়ার পর দেশের চিকিৎসা সেবার গতি বাড়বে। পাশাপাশি জনবল সংকট নিরসনেরও কাজ চলছে। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পৌনে চারটার দিকে চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগ, হৃদরোগ বিভাগ ও রেডিওথেরাপি বিভাগ ঘুরে দেখেন করেন। এ সময় তিনি চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে কথা বলেন।

পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে হাসপাতালের শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রায় অভিযোগ শোনা যায়, চিকিৎসকরা কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। এজন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবে এটি চিকিৎসকদের অসম্মানিত করার জন্য নয়।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের একটি উক্তিকে উদ্ধৃত করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, একজন ভালো চিকিৎসক হওয়ার আগে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এ কথাটি হৃদয়ে ধারণ করি এবং আমাদের চিকিৎসক সমাজও এটি হৃদয়ে ধারণ করুক। দেশের সব চিকিৎসক খারাপ না, ভালো মানুষও আছেন।

চিকিৎসকদের প্রতি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন বাঁচানো চিকিৎসকের দায়িত্ব। অন্য কোনো পেশায় জড়িতরা এ কাজ করেন না। মানুষ অসহায় হয়ে চিকিৎসকদের কাছে যান বাঁচার তাগিদে। এটি চিকিৎসকদের বুঝতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমদ, চমেক অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ