বিষয় :

পবিত্র কোরআন অবমাননাকারী সেফাত উল্লাহর ফাঁসি হওয়া প্রয়োজন!


১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ৪:৩১ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কি নিয়ে কুরিচিপূর্ন ও অশ্লীল মন্তব্য করেছে সেফাতউল্লাহ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কি নিয়ে কুরিচিপূর্ন ও অশ্লীল মন্তব্য করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝর।

নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি এসব অশ্লীল মন্তব্য করলে সাধারন মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ।বেশিরভাগ মানুষ তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন যেন ভবিষ্যতে কেউ কোন ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে না পারে। এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যর দায়ে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুন্না। সেই মামলারও কোন অগ্রগতী হয়নি।

প্রসংগত সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনায় সেফাতউল্লাহ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। ফেসবুকে নানান ধরণের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে আলোচনায় আসেন অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় অবস্থান করা সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা। তার বিষয়ে ভিয়েনা বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রবাসী সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ জানান, সেফাতউল্লাহ ১৯৯০ সাল থেকে ভিয়েনায় আছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।

আহমেদ ফিরোজ জানান, ভিয়েনা বাংলাদেশ কমিউনিটির এক পারিবারিক ঝগড়ার কারণে কোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন ভিয়েনায় জেল খাটেন সেফাতউল্লাহ। মুক্ত হবার পর অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী তার লিগ্যাল হবার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে। স্ত্রী সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেফাতউল্লাহ।

আহমেদ ফিরোজ জানান, ‘সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রতি মানুষের আগ্রহ তাকে আরো বেশি উন্মাদ করে তুলেছে। বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন সেফাতউল্লাহ। আহমেদ ফিরোজ বলেন, ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস সেফাতউল্লার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবগত আছেন। ভিয়েনায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। অচিরেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ