বিষয় :

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিলেন বিপ্লব কুমার দেব


৯ মার্চ, ২০১৮ ৪:৩৩ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় ডেস্ক:: উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব। আর উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রাজ্য বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা যিষ্ণু দেব বর্মণ। শুক্রবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজ্যের রাজধানী আগরতলার আসাম রাইফেলস ময়দানে তাদের এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ, শীর্ষ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি, মুরলি মনোহর যোশী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও ত্রিপুরার সদ্যবিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালসহ বিজেপি থেকে নির্বাচিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজ্যের বনমালীপুর আসন থেকে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিপ্লব কুমার। তার নেতৃত্বে বিজেপি বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ভরাডুবি হয়েছে মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন সিপিএম-এর। গত ৩ মার্চ ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাত রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। এরপর থেকেই দেশটির গণমাধ্যম বিপ্লব দেবকে ত্রিপুরার হবু মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও বিজেপি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ৬ মার্চ।

২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব পান বিপ্লব দেব। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই সময় বিপ্লব দেব ১৫ বছর দিল্লিতে অবস্থান করেন; তখন সেখানে একটি ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। বিপ্লব দেব ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা দলটির সবচেয়ে কম বয়সী রাজ্য সভাপতি। এই যুবনেতা মাত্র দুই বছরের মাথায় ২৫ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে লাল থেকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দিলেন বিভিন্নভাবে পিছিয়ে থাকা ত্রিপুরাকে।

এদিকে শপথ নেওয়ার আগে শুক্রবার সকালে ত্রিপুরার নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন। এ সময় ত্রিপুরার উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার জনগণের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। এদিকে, নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বর্জ করেছে রাজ্যে সদ্য বিরোধী দলে পরিণত হওয়া সিপিএম।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ