এএসপি মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।


৪ আগস্ট, ২০১৮ ১:৫০ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: চট্টগ্রাম কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় ভাংচুর ও টোলপ্লাজার কর্মকতা-কর্মচারীদের মারধেরর ঘটনায় সহকারী পু্লিশ সুপার (এএসপি) মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (০৩ আগস্ট) রাতে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজার ম্যানেজার (প্রশাসন) মহিদুল ইসলাম বাদশা কর্ণফুলী থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। এতে এএসপি মশিয়ার রহমান ছাড়াও তার গাড়িচালক ও আরও দুইজনকে অভিযু্ক্ত করা হয়েছে।

কর্ণফুলী থানা পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত করছে বলে সকালেরসময়কে জানান কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান ইমাম। তিনি বলেন, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় ভাংচুর ও টোলপ্লাজার কর্মকতা-কর্মচারীদের মারধেরর অভিযোগে টোলপ্লাজার ম্যানেজার (প্রশাসন) মহিদুল ইসলাম বাদশা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।শুক্রবার (০৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মইজ্জারটেক টোলপ্লাজায় ভাংচুর ও টোলপ্লাজার কর্মকতা-কর্মচারীদের মারধেরর ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত পু্লিশ কর্মকতা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পু্লিশ সুপার (এএসপি) মশিয়ার রহমান। এ ঘটনায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জ অপূর্ব শাহা সকালেরসময়কে বলেন, মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পু্লিশ সুপার মশিয়ার রহমান তার গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি সাদা পোশাকে ছিলেন।

দুইটি বুথে টোল সংগ্রহ করছিলেন সোহাগ ও ফয়সাল। কয়েকটি গাড়ির পরেই এএসপি মশিয়ারের গাড়ি ছিল। হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে এমে তিনি বুথের গ্লাস ভাঙা শুরু করেন। পরে বুথ থেকে বের করে সোহাগ ও ফয়সালকে মারধর করেন। তাদের বাঁচাতে গেলে সাদ্দাম হোসেন নামে আরও একজনকে মারধর করেন এএসপি মশিয়ার। পরে তিনি তার গাড়ির সামনে থাকা অন্যান্য গাড়িগুলো টোলগ্রহণ ছাড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন ও তিনিও চলে যান। অপূর্ব শাহা বলেন, এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ