সকালেরসময় রিপোর্ট:: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর আমির খসরুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ১২ নভেম্বর, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আমির খসরু মুক্তি পান। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে এক যুবকের সঙ্গে ‘ফোনালাপ’-এর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধূরী কারাগারে বন্দী ছিলেন। আমির খসরুর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক। তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে রবিবার কারাগারে জামিননামা আসে।
এটি যাচাই বাছাই করে সকালে আমির খসরুকে মুক্তি দেওয়া হয়। আইসিটি আইনের মামলায় গত ২১ অক্টোবর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় চট্টগ্রামের একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলা করা হয়।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মধ্যে আমির খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে ছাত্রদলের এক কর্মীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেই ক্লিপের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে চট্টগ্রামে মামলা করা হয় আমির খসরুর বিরুদ্ধে।