আলেমদের মুক্তি না দিলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না–হেফাজত


নিউজ ডেস্ক  ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ৬:০০ : অপরাহ্ণ

হেফাজতে ইসলামের কারাবন্দি সব নেতাকর্মীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মুক্তি দিতে আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজত মহাসচিব সাজিদুর রহমান। হেফাজত নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগে আলেমদের মুক্তি না দিলে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এজন্য যে কোনো পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে সরকার।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হেফাজতের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে এ কথা বলেন নেতারা।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে মিথ্যা মামলায় হেফাজতের শীর্ষ নেতারা বন্দি। সাজানো মামলায় তাদের দীর্ঘ সময় অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে সরকার। আজকের সম্মেলনে কারাবন্দি সব নেতাকর্মীকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে যত মিথ্যা মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

আগামীতে দলটির কর্মসূচি প্রসঙ্গে হেফাজত মহাসচিব সাজেদুর রহমান বলেন, সামনের তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে হেফাজতের জেলা-উপজেলা ও মহানগর কমিটি করা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে করা হবে শানে রেসালাত সম্মেলন। পর্যায়ক্রমে অন্য সব জেলায়ও অনুষ্ঠিত হবে।

বেফাকের মহাসচিব ও হেফাজতের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক বলেন, হেফাজত রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন। ইসলাম যদি রক্ষা না পায় তবে এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষা পাবে না। কেউ যদি ইসলামবিরোধী কাজ করে হেফাজত তার প্রতিরোধ করবে। হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।

হেফাজতের নায়েবে আমির আহমদ আবদুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগেই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আলেমদের মুক্তি দিতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জালেম ক্ষমতায় থাকলে আলেমরা মুক্তি পাবে না।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, নির্বাচনের আগে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যদি না করা হয় জনগণ নির্বাচনে দাঁতভাঙা জবাব দেবে। এ দেশে কোনো অপশক্তি টিকে থাকতে পারবে না।

হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, দীর্ঘ তিন বছর ধরে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুনীর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি মাহমুদ গুনবী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ আরও অনেক আলেম। তাদের এত দীর্ঘ সময় অন্যায়ভাবে সরকার বন্দি করে রেখেছে। আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি পাচ্ছেন না তারা। নতুন মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রশাসনিক চাপ প্রয়োগ করে দেশের কওমি মাদরাসাগুলো শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। জুমার খুতবা ও ওয়াজ-মাহফিল নিয়ন্ত্রণে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় ও নাগরিক স্বাধীনতাও খর্ব করা হয়েছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ