বিষয় :

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  ৭ জুলাই, ২০২২ ২:১০ : অপরাহ্ণ

মক্কার অদূরে মিনা নগরীতে এসে হাজির হচ্ছেন হাজিরা। বুধবার দিবাগত রাতে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। তাঁবুর এই শহর মুখরিত হয়ে উঠেছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে। কাবা প্রাঙ্গন থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীরা কেউ বাসে, কেউ পায়ে হেঁটে বা অন্য যানবাহনে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন।

বৃহস্পতিবার মিনার তাঁবুতে অবস্থান করবেন হাজিরা। শুক্রবার তারা যাবেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানেই শুরু হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর মুজদালিফা হয়ে হাজিরা আবার মিনায় ফিরবেন। সেখানে অবস্থান করে শয়তানকে কংকর মারা, কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, তাওয়াফ এসব আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে হজের কার্যক্রম।

আরাফাতের ময়দানে এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ৯ জিলহজ (শুক্রবার) এ খুতবা দেবেন। একই সঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজেও ইমামতি করবেন। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) হারামাইন শরিফাইনের জেনারেল প্রেসিডেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর হজে সৌদি আরবের বাইরে কেউ অংশ নিতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার সীমিত আকারে হজ পালনের সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব। এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ মুসলিম হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০ হাজার হজযাত্রী ইতোমধ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে রয়েছে ৮ জিলহজ মিনায় সারা দিন অবস্থান। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন তারা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় ফিরে কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ