বিষয় :

লাব্বাইক-আল্লাহুম্মা-লাব্বাইক

মক্কার অদূরে মিনার তাঁবুতে হাজিদের অবস্থান শুরু


সকালের-সময় রিপোর্ট  ১৮ জুলাই, ২০২১ ২:৪৮ : পূর্বাহ্ণ

সৌদি আরবে হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী আজ ৮ জিলহজ। মক্কার অদূরে মিনার তাঁবুতে হাজিদের অবস্থানের দিন। ১৯ জুলাই সোমবার (৯ জিলহজ) মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিন অর্থাৎ হজের দিন। করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর মাত্র ৬০ হাজার হজযাত্রীর অংশগ্রহণে হজ পালিত হচ্ছে।

মূলত ৮ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকেই ইহরাম বেঁধে তালবিয়া পাঠ (লাব্বাইক আলস্নাহুম্মা লাব্বাইক) করতে করতে হাজিদের মিনার তাঁবুতে গিয়ে অবস্থান করার নিয়ম। সে হিসেবে হজের দিনগুলোর সূচনা আজ থেকেই। নির্ধারিত স্থান (মিকাত) থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় অবস্থান করেই হাজিরা হজের সব করণীয় সম্পন্ন করবেন।

সেখান থেকেই কাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা হবেন। দিন শেষে আরাফাতের ময়দান থেকে ফেরার পথে মুজদালিফায় রাত যাপন করে ১০ জিলহজ মঙ্গলবার সকালে আবার মিনার তাঁবুতে ফিরবেন। সেখান থেকে গিয়েই জামারাহতে শয়তানের প্রতি প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন।

পশু কোরবানি করবেন এবং তাওয়াফে জিয়ারাহ, সাফা মারওয়া সাঈ করে আবার মিনার তাঁবুতে ফিরে আসবেন। পরের দুই দিনও একইভাবে মিনার তাঁবু থেকে গিয়ে জামারায় পাথর নিক্ষেপ করবেন। ১২ অথবা ১৩ জিলহজ পাথর নিক্ষেপ শেষ করে হাজিরা মিনার তাঁবু ত্যাগ করে হজের কর্তব্যের সমাপ্তি ঘটাবেন। এরপর মক্কা ত্যাগ করার আগে বিদায়ী তওয়াফ করে যে যার অবস্থানে চলে যাবেন।

মিনার তাঁবুতে হাজিরা ‘লাব্বাইক আলস্নাহুম্মা লাব্বাইক’ তথা তালবিয়া পাঠ ছাড়াও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। হজের মাসলা মাসায়েল নিয়ে নিজেরা আলোচনা করেন। আলস্নাহর দরবারে কান্নাকাটি করে মুনাজাত করেন। কাল মিনা থেকে হাজিরা আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেবেন।

আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের অন্যতম ফরজ। এখানে কেউ অবস্থান না করলে তার হজ আদায় হবে না। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ পড়ে হাজিদের আরাফাতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার নিয়ম।

মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানের দূরত্ব ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। অনেকে হেঁটে আরাফাতের দিকে রওনা হন। কিন্তু করোনার কারণে এবার কেউ নিজের ইচ্ছামতো হেঁটে নয়, নির্ধারিত বাসে ও আসনে বসেই যেতে হবে। দুপুরের আগেই হাজিরা আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেবেন।

আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে গ্র্যান্ড মুফতি জোহরের ওয়াক্ত শুরু হলেই খোতবা দেবেন। সেখানে জোহর ও আসরের নামাজের পরপর জামাত হবে। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত ওই ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা আলস্নাহর দরবারে মুনাজাত করে কান্নাকাটি করে কাটাবেন। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ময়দান ত্যাগ করবেন। মিনায় ফেরার পথে মাঝে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন।

১০ জিলহজ সকালে ওই ময়দান ত্যাগ করে আবার মিনায় ফিরবেন। মহান আলস্নাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভই হজ পালনের প্রধান উদ্দেশ্য। হজের প্রতিটি কাজের মধ্যেই আলস্নাহর প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ, তার মুখাপেক্ষী হওয়া, তার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং তার নির্দেশিত পথে বাকি জীবন পরিচালনার স্বীকৃতি ও অনুশীলনই প্রকাশ পায়।

এ জন্য হাজিরা সবসময় আলস্নাহর কাছে দোয়া করেন আলস্নাহ যেন তার হজকে ‘মাবরুর হজ’ হিসেবে কবুল করেন।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ