নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের স্ত্রী হোসেন আরা পপির বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে পপির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এনামুল হক জানান, দুদকের সম্পদ বিবরণীর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য জমা দিয়েছেন হোসেন আরা পপি। এতে তার নামে থাকা স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী তিনি দুদকে জমা দিয়েছেন তাতে এক কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির গড়মিল দেখা যায়।
তাই জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/১০৯ ধারায় এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পপির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
পপি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া গ্রামের জিন্নাত আলী বিশ্বাসের ছেলে ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের স্ত্রী।
এর আগে গত ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট ভৈরব রেল স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পুলিশ সাবেক জেলার সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে।
এসময় তার কাছ থেকে নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং তার নিজ নামে ১ কোটি টাকা, স্ত্রী হোসনে আরার নামে ১ কোটি এবং শ্যালক রাকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকাসহ মোট আড়াই কোটি টাকার এফডিআর রশিদ এবং ব্র্যাক, প্রাইম, মার্কেন্টাইল ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের আলাদা হিসেবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও মার্কেন্টাইল, দ্য সিটি, সাউথইস্ট ও সোনালী ব্যাংকের ১০ পাতার খালি চেক বই পাওয়া যায়। তার কাছ থেকে ১২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরাও জব্দ করা হয়।
তখন সোহেল রানার বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই মো. আশ্রাফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে মাদক ও অর্থপাচার আইনে দু’টি মামলা করেন। এ ঘটনার পর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করে।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
এস এস/
