বিষয় :

৬ লেন ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী


৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ১০:৫৮ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রথমবারের মত নগরবাসীর গণপরিবহনের যাতায়াতের সুবিধার্থে ডিজিটাল ‘র‌্যাপিড পাস’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বিআরটিসি কর্মকর্তা এবং যাত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা’র আর্থিক সহায়তায় ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা যে ব্যবস্থা করেছি সেটা হচ্ছে র‌্যাপিড পাস। এর জন্য বাসে উঠে আর টাকা বের করতে হবে না। কার্ডটা থাকলেই হবে।’

ভবিষ্যতে এই কার্ডের মাধ্যমে জনগণ তাদের বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ নানা ইউটিলিটি বিল দিতে পারবেন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, ‘উন্নত দেশের মত ভ্রমণ, শপিংসহ নানা সুযোগ সুবিধা জনগণ যেন কার্ডের মাধ্যমে পেতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হবে।’

তিনি প্রকল্পটিতে সহযোগিতার জন্য এবং বাংলাদেশে পরিচালিত সকল প্রকল্পের জন্য জাপান সরকার এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত জাপান সরকারের প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান। প্রথমবারের মত ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে এ দিন যাত্রা শুরু করা বিআরটিসি’র মতিঝিল টু নবীনগর গামী যাত্রীদের সঙ্গে এ সময় প্রধানমন্ত্রী মত বিনিময় করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক এবং জাপান সরকারের প্রতিনিধি মাসাতো ওয়াতানাবে এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনী শহরের মহিপালে দেশের প্রথম ও একমাত্র সিক্স লেনের ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছে।

মহিপাল ফ্লাইওভার ছয় লেনের হলেও সেতুর নিচের দুই পাশে আরও চারটি সার্ভিস লেন চালু থাকবে। মোট লেন সংখ্যা হবে ১০টি। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এই সিক্স লেন ফ্লাইওভার প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী অন্তঃজেলা পরিবহন যাত্রীদের কাছে মহীপাল এক সময় একটি দুঃখের স্থান ছিল উল্লেখ করে বলেন, এই এলাকার যানজটে সকলকেই ভোগান্তি পোহাতে হত। সেই ভোগান্তি লাঘবের জন্যই এই ফ্লাইওভারটি করা হয়েছে।

এই ফ্লাইওভারটি ফেনী হয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, পার্বত্য জেলা সমূহ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট অঞ্চলে যাতায়াতকারী বিভিন্ন যানবাহন নিয়মিত যানজটের কবল থেকে মুক্তি পাবে, স্বস্তি পাবেন যাত্রীরাও।

এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল। এর মূল দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার, প্রস্থ ২৪.৬২ মিটার, সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৭০ মিটার, সার্ভিস রোডের প্রস্থ ৭.৫ মিটার, সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৬০ মিটার, ১১টি স্প্যান, ফুটপাথের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ২১০ মিটার, পিসি গার্ডার ১৩২টি।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ