বিষয় :

মা আমার জান্নাত,মা নামটি শুনলেই প্রাণ জুড়ে যায়।


২০ জুলাই, ২০১৮ ৪:১১ : পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ ফোরকান::  মা শব্দটি পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল শব্দ। মায়ের চেয়ে মধুর আর আপন কিছু এই পৃথিবীতে নেই। সন্তান হয়তো মায়ের সাথে কখনো বিরূপ আচরণ করে, জাগতিক টানে হয়তো মায়ের অবদান ভুলে যায় কিন্তু মা ঠিকই তাদের আগলে ধরেন। দু বর্ণের অতি পরিচিত নাম। মা অতি ছোট্ট একটি শব্দ। কি মধুর শব্দ। মা নামটি শুনলেই প্রাণ জুড়ে যায়, শ্রদ্ধায়,গর্বে মনটা ভরে যায়। যে মা গর্ভ ধারণের পর থেকে সন্তানকে লালন পালন করে, কিভাবে এ সন্তান ভাল ভাবে পৃথিবীতে আসবে সে চিন্তায় মায়ের ঘুম আসেনা। ১০ মাস ১০ দিন গর্ভ ধারণের পর কী কষ্টে সন্তান ভুমিষ্ট করেন। সন্তানের মুখ দেখার পর থেকে তার গর্বে প্রাণ জুড়ে যায়। এতটুকুন কষ্ট তার থাকে না। পরবর্তীতে এ সন্তানকে ভালভাবে বড় করার চেষ্টা। কী কঠিন পরিশ্রম। নিজে না খেয়ে না দেয়ে সন্তানকে বড় করে তুলেন।

এক সময় সন্তান বড় হয়, অনেক বড় হয় তারপর বিয়ে করে। সেও বাবা হয় কিংবা মা হয়। এক সময় হয়ত সে শ্রদ্ধাময়ী এ মাকে ভুলে যায়, মা কিন্তু ভুলে না। এমনকি মা কোন সন্তান কিসে খুশী তাও তার মুখস্ত। এমনকি বয়স্ক অবস্থায় এতটুকু কষ্ট নেয় না। আমি অনেক মাকে দেখেছি, সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সময় কি যে কষ্ট, এমনকি অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে গেছে। তারপরও জ্ঞান ফিরার পর তার প্রথম জিজ্ঞাসা আমার সন্তান কই।

সে গর্ভধারিনী মাকে আমরা কারণে অকারণে কষ্ট দিই। আমরা একটু ভাবিনি আমাদের জন্য কতটা কষ্ট সহ্য করেছে। বাবার কাছে কতনা মিথ্যা বলে বাঁচিয়েছে। ইসলাম ধর্মে তাই মহান রাব্বুল আলামীন বলেছেন..মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। এটা একবার নয় বেশ কয়েকবার বলেছেন। অন্যান্য ধর্মেও মাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়েছে। তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আসুন কোন বিশেষ দিন নয় প্রতিটি দিনেই আমরা প্রতীজ্ঞাবদ্ধ হই, আমাদের মাকে কখনো কষ্ট দিব না।

বিশ্বের সকল মায়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। আমার মা, আমার জীবন। মা তোমাকে কখনও ভুলব না। এ হোক আমাদের অংগীকার। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিটি স্কুলে প্রতি মাসে একটি অন্য রকম দিন পালন করা হয়। ঐদিন সব মা কে স্কুলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরে সব ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুল মাঠে নিজ নিজ মায়ের দুই পা পানি দিয়ে পরিস্কার করে মুছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, যেন ভবিষ্যতে তারা বাবা-মায়ের যত্ন নিতে ভুল না করে। ফল স্বরুপ ইন্দোনেশিয়ায় আজ পর্যন্ত কোন বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেনি।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ