বিষয় :

ফেরার আগে রোহিঙ্গাদের ৫ দফা দাবি


২০ জানুয়ারি, ২০১৮ ৬:৪৩ : পূর্বাহ্ণ

উখিয়া প্রতিনিধি :: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন আর নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা নেতারা বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করার চেষ্টা করছেন।

তাদের এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন না বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন তারা।

রোহিঙ্গাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-১. রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ঘোষণা। মিয়ানমারের স্বীকৃত জাতিগোষ্ঠীর তালিকাতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করা। ২. উচ্ছেদে বাধ্য হওয়া নিজেদের সেই জায়গা, বাড়িঘর ফিরিয়ে দেয়া। ৩. হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের বিচার। ৪. কারাগারে আটক ‘নিরপরাধ’ রোহিঙ্গাদের মুক্তি। ৫. রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া তালিকা সরিয়ে নেওয়া।

রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, তাদের এই স্মারকলিপি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। স্মারকলিপি চূড়ান্ত হলে তা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে তা তুলে ধরা হবে।

তাদের দাবি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৪০টি গ্রামের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা।

এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে ধর্ষণ, অগ্নিকাণ্ড, হত্যা সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হয় তারা। এর আগে থেকেই কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।

গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে আগামী সপ্তাহে শুরু করে দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ২৩ জানুয়ারি থেকে ফিরিয়ে নেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার।

ইতোমধ্যে অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান জেমস গোমেজ মন্তব্য করেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের এই অস্থিতিশীল সময়ে ফেরত পাঠানো হবে অন্যায় এবং অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত।

তবে দ্য ডিপ্লোম্যাট নামে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য যতটুকু করা সম্ভব করবে, এবং তাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গেও কাজ করবে। কিন্তু বাংলাদেশকে অবশ্যই আগে নিরাপদ রাখতে হবে। মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য সারাদেশ উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব নয়।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ