বিষয় :

এলো খুশির ঈদ—ঘরে ঘরে আনন্দ


নিউজ ডেস্ক  ১১ এপ্রিল, ২০২৪ ৭:২৬ : পূর্বাহ্ণ

এক মাস সিয়াম সাধনার পর বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ঈদের আবহ। ঈদের আগের রাতে রেডিও-টেলিভিশনে বেজে চলেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী সেই গান, ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ।

ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার আহ্বান জানিয়ে বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ঈদ মানে আনন্দ। আসুন, আমরা আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

ঈদের দিনে সারা দেশে বাড়ি বাড়ি সাধ্যমতো উপাদেয় খাবার রান্না করা হবে। বাড়ির ছোট সদস্যদেরই আনন্দ-উদ্দীপনা হবে বেশি। নতুন পোশাকে সেজেগুজে তারা বেড়াতে যাবে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি। ঈদের দিনটি যেমন আনন্দের, তেমনি প্রার্থনারও।

পুরুষেরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল-অজু করে দীর্ঘ এক মাস পর দিনের শুরুতে মুখে খাবার তুলবেন। যাত্রা করবেন ঈদের জামাতে অংশ নিতে। নামাজ শেষে বুকে বুক মেলাবেন পাশের জনের সঙ্গে। তারপর অনেকেই যাবেন কবরস্থানে, চিরতরে ছেড়ে যাওয়া প্রিয়জনের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে পুরো এক মাস রোজা পালন করে জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।

সারাদেশে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারাদেশে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ