বিষয় :

ঊর্ধ্বতন পুলিশ হত্যাসহ বিএনপি দুই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে: শেখ হাসিনা


২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১:৫০ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: পুলিশকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যাসহ বিএনপি দুই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডন থেকে সরকারবিরোধী একজন ‘ক্রিমিনাল’ (তারেক রহমানকে ইঙ্গিত) এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন শুনি নির্বাচন সামনে রেখে তাদের (বিএনপি) মূল টার্গেটই হবে পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কয়েকজনকে মেরে ফেলে দিলেই নাকি সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, তাদের দুইটা পরিকল্পনা। সেই একটা ক্রিমিন্যাল আছে, লন্ডনে বসে বসে পরিকল্পনা করে। একটা হচ্ছে, পুলিশকে পয়সা দিয়ে হাত করা আরেকটা হচ্ছে এদেরকে হত্যা করে এদের ‘ডিমোরালাইজড’ করা। এই দুইমুখী পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগুচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,আত্মবিশ্বাস আছে, তারা যেটা চিন্তা করে তা হবে না। এখন পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা অর্জন করেছে, অনেক আত্মবিশ্বাস তাদের মধ্যে ফিরে এসেছে, তাদের যে দায়িত্ব তারা সেটা কঠিনভাবে পালন না করলে এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন আমরা করতে পারতাম না। তিনি বলেন, আজকে জঙ্গিবাদ-দুর্নীতিবাজ-মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে এতে আমরা সফল হতে পারতাম না। সবথেকে বড়ো কথা, জনগণের সর্মথন আছে। এখন পুলিশের ওপর জনগণের একটা বিশ্বাস, আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই বিশ্বাসটাই সবথেকে কার্যকর।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সেদিক থেকে আমি মনে করি, যেকোনো দুর্যোগ আসলে তা মোকাবেলা করার মতো ক্ষমতা আমাদের আছে। আর আমাদের মানুষও এখন এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। মানুষের সচেতনতাটাই সবচেয়ে বড়ো শক্তি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। ভবিষ্যত বাংলাদেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা সময় আমরা হয়তো থাকবো না আমাদের প্রজন্ম থাকবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারাও যেন একটা সুন্দর জীবন পায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের ১৫ জন সাবেক মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। সংহতি প্রকাশকারীদের মধ্যে সাবেক আইজিপি ছাড়াও অন্যান্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে পিএসপি অফিসার একজন, সাবেক অ্যাডিশনাল আইজিপি ১৯ জন, ডিআইজি ২৪ জন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি ৩ জন, এআইজি ও পুলিশ সুপার ১১ জন এবং অতিরক্তি পুলিশ সুপার ১৫ জন ছিলেন।

সাবেক পিএসপি কর্মকর্তা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক আইজিপি এ টি আহাম্মেদুল হক চৌধুরী, সাবেক সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তা মো. মমিনউল্লাহ পাটওয়ারী, সাবেক আইজিপি কুতুবুর রহমান, মো. শামসের আলম, এ কে এম এনায়েতউল্লাহ দেওয়ান, মো. আব্দুর রউফ, মো. আওলাদ হোসেন মিয়া, কাজী বজলুর রহমান, মো. আব্দুল হাননান, মো. রুহুল আমিন, মুহ. আব্দুল হাননান খান, এম সানাউল হক, মো. নুরুল আনোয়ার, এ কে এম শহীদুল হক। সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. সরওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবদুর রহিম খান, মো. নুরুল আলম, মো. আলী ইমাম চৌধুরী, মো. ফজলুল হক, মো. আব্দুর রহিম, খন্দকার মোজাম্মেল হক, গোলাম মোস্তফা, মো. লুৎফর রহমান মিয়া, মো. মতিউর রহমান, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল মাবুদ, আমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, মো. নাজমুল হক, ফাতেমা বেগম, বিনয় কৃষ্ণ বালা, নওশের আলী।

সাবেক ডিআইজি মো. আবু হানিফ, দেওয়ান হাবিবুল্লাহ, মো. সফিক উল্লাহ, খন্দকার সাহেব আলী, কাজী নজরুল ইসলাম, মো. মোখলেসুর রহমান, শাহ আলম সিকদার, পি আর বড়ুয়া, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. ওয়ালিউর রহমান, নিরাবরণ কুমার চন্দ, মোস্তফা জামাল উদ্দিন আল আজাদ, কাজী আনোয়ার হোসেন, মো. আলতাফ হোসেন মোল্লা, চৌধুরী আহসানুল কবীর, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মোস্তাক হোসেন খান, সফিকুর রহমান, মকবুল হোসেন ভূঁইয়া। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, মীর নওশের আলী, মো. সিরাজুল ইসলাম, আওরঙ্গজেব খান লেনিন, নূর মোহাম্মদ।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ