নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতি করে পণ্য খালাস ও ৭২ কোটি ৮২ লাখ ৯১ হাজার ৭২৫ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা ২টি দায়ের করেন।
শনিবার দুপুরে দুদ) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত। তিনি বলেন, কমিশনের অনুমতিক্রমে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে আসামিরা পরস্পর নিজেরা লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গ ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৫টি চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্য সিগারেট আমদানি করে। চালানটি খালাসপূর্বক সরকারের ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাত করেন আসামিরা।
প্রথম মামলায় আসামি করা হয়, মেসার্স জারার এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু (৫৩), গ্রাহক মো. আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর মো. জহুরুল ইসলাম, গ্রাহক আবুল কালাম, কাস্টম হাউজের প্রাক্তন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার জনি, প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে।
দ্বিতীয় মামলায় আসামি করা হয়, মিজানুর রহমান চাকলাদার, মফিজুল ইসলাম লিটন, মুভিং ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল হান্নান দেওয়ান, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু, আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর জহুল ইসলাম, কাস্টম হাউসের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে।
দ্বিতীয় মামলায় ২টি পণ্য চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্য সিগারেট আমদানি করে তা খালাসপূর্বক সরকারের ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এসএস/এমএফ