বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম, চরম দুর্ভোগে নগরবাসী!


সকালের-সময় রিপোর্ট  ৬ জুন, ২০২১ ৬:৩৩ : অপরাহ্ণ

মুষলধারে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বন্দর নগরীর অধিকাংশ এলাকা। এতে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। আজ রোববার ভোর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় সকাল ৯টার পর থেকে। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮৯ মিলিমিটার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, প্রাক মৌসুমী বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে তা থেমে থেমে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হবে।

এদিকে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েন সাধারণ মানুষ। সেই সাথে পানির মধ্যে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে চালকদের।

নগরীর চকবাজার, জামাল খান, আগ্রাবাদম বড়পোল, ছোটপোল, হালিশহর পতেঙ্গা, ইডিজেড, প্রবর্তক মোড়, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, ষোলশহর দামপাড়াসহ বিভিন্ন নিচু এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ছোট শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষকে পানির কারণে চরম বেকায়দায় পড়তে দেখা গেছে।

নগরবাসীর অভিযোগ বছরের পর বছর পার হলেও জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে কোনোভাবেই পরিত্রাণ মিলছে না চট্টগ্রামবাসীর। সিডিএর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলার পরও কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার শেষ হচ্ছে না।

সকালে অফিসগামী ব্যাংক গিয়াস উদ্দীন হাটু পানিতে দাড়িয়ে বলেন, অফিসে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই, পানির কারণে আটকে আছি এখানে। আমরা চাই এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে এটার একটা ব্যবস্থা করা হোক।

মোহাম্মদ দিদার নামে বাকলিয়ার আরেক বাসিন্দা বলেন, কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথাই নেই। আমাদের কষ্টের কোনো সীমা নেই। অনেক জায়গায় পানির উচ্চতা কোমরসমানও দেখা যায়। পানির কারণে নষ্ট হয়ে যায় অনেক গাড়ি। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সৃষ্টি হয় যানজটের।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মহানগরীতে ৩০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ