বাঁশখালীর ঘটনা মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক উল্লেখ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি শ্রমজীবী পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তিটির মৃত্যু হলে সে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। সে অসহায় শ্রমিক পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত সাত শ্রমিকের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ ও আহত ১৫ শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এই অর্থ দেয়া হবে। এক বিবৃতিতে সোমবার এই অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি।
বাঁশখালীর ঘটনা মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক উল্লেখ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি শ্রমজীবী পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তিটির মৃত্যু হলে সে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। সে অসহায় শ্রমিক পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী গঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় কোনো শ্রমিক নিহত হলে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে সর্বোচ্চ দুই লাখ পর্যন্ত এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তার বিধান রয়েছে। তারই আলোকে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ডাকা সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৭ শ্রমিক। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
ওই ঘটনাকে আইনের শাসন পরিপন্থি, গর্হিত অপরাধ ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য লজ্জাকর বলে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন লেখক, শিক্ষক, আইনজীবী, অধিকারকর্মীসহ ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
এসএস