চট্টগ্রামে দুর্নীতির মামলায় পুলিশের এসআই কারাগারে


সকালের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২১ ৬:৩৫ : অপরাহ্ণ
দুর্নীতির মামলা, পুলিশের এসআই, কারাগারে

আদালত ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)’র দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাময়িক বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে শুনানি শেষে এ পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের মামলায় এসআই নওয়াব ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছিল।

ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর আদালত চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এসআই নওয়াব আত্মসমর্পণের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

মামলার বাকি তিন আসামি হলেন- নওয়াবের স্ত্রী গোলজার বেগম, চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-১ এর অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সহকারি কর কমিশনার বাহার উদ্দিন চৌধুরী এবং কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষ। গোলজার বেগম চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ ফখরুদ্দিন চৌধুরী ও দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক এই শুনানি করেন।

দুদক সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন নওয়াব আলী। তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে।

মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারপরও মাছ চাষ করা হয় মর্মে কর কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দিয়েছেন।

এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দিয়েছে।

দুদক তদন্তে জানা গেছে, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়। সেখানে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন নিজের নামে।

স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে।

দুদকে দেয়া হিসাব বিবরণীতে গোলজার দাবি করেছেন, তিনি মিরসরাইয়ের পশ্চিম ইছাখালীর মদ্দারহাটে হারেস আহমদ, আমিনুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, শওকত আকবরসহ সাতজনের সাথে চুক্তি করে একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন।

কিন্তু তদন্তে উঠে আসে, হারেস আহমদসহ যেসব ব্যক্তির সাথে চুক্তি দেখানো হয়েছে, তারা ২০ বছর আগে মারা গেছেন।

এস এস/

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ