ইছামতি নদীতে চলছে বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য, নিরব প্রশাসন!


সকালের-সময় রিপোর্ট  ১১ জুলাই, ২০২১ ৭:০৩ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নদীর পাড়ের বসত বাড়ি এবং প্রায় শত-শত হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলারে দেশীয় ছোট ড্রেজার ও নদীর পার থেকে হাজার হাজার ঘন ফুট বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নসহ পারুয়া, রাজানগর লালানগর এবং রাজারহাট এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামের নদীর পাড় ঘেষে ২০-৩০টি নৌকায় দৈনিক ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে দীর্ঘ পাইপ টেনে বিকট শব্দে দিন রাত বালু উত্তোলন করছেন ১৪ নং দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লঙ্গি ইউসুফ মেম্বারের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট।

জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ায় ইছামতি নদীতে লঙ্গি ইউসুফসহ কয়েকটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ পন্থায় বালু ব্যবসা পরিচালনা করছে। সংঘবদ্ধ এ চক্রগুলোর কারণে ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। তারা আরো বলেন জীবনের ভয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

তাদের অস্ত্রধারী লোকজন বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এতে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি এলাকাবাসীর ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে আশেপাশের বসবাসকারী বাড়ি-ঘরগুলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, একটি সন্ত্রাসী মহল বন্যা মৌসুমে দেশীয় ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার লোক জনের কাছে বিক্রি করছে। ফলে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বহু লোকজনের ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

এভাবে বালু উত্তোলন করলে ইছামতি নদীর পারুয়া, রাজানগর , লালানগর এবং রাজারহাট সহ বহু এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ড্রেজার মেশিন বন্ধ ও অবৈধ বালু খেকোদের আইনের আওতায় আনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকালের-সময় ডটকম’কে জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানা করেছি। রাঙ্গুনিয়ায় দ্রুত মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সকালের-সময়/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ