রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যা 

মিয়ানমার সেনাদের বিচারের আওতায় আনতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ


সকালের-সময় রিপোর্ট  ১৫ জুলাই, ২০২১ ২:৩০ : অপরাহ্ণ

রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং নির্যাতনে জড়িত মিয়ানমারের সেনাদের বিচারের আওতায় আনতে জাতিসংঘে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হওয়া বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ সভাতেও রোহিঙ্গা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই প্রস্তাব সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।

এই প্রস্তাব পাশ অনেকভাবেই বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রসচিব। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন অবস্থার কারণে বারবার রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনার বাইরে চলে যাচ্ছিল।

এইসময় এই প্রস্তাব পাশ সুখবর বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, এটা অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ সভাতেও রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনা হবে। তখন পাশ হওয়া এই প্রস্তাবটি তুলে ধরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চাইবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি উদ্বিগ্ন থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মিয়ানমারের ওপরে চাপ থাকবে। সেটা আমাদের প্রত্যাবাসনের পথকে কিছুটা হলেও সুগম করবে।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রত্যাবাসনের কথা খুব জোরালোভাবে বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ যা যা চেয়েছিল তার সব ছিল এবং তা সর্বসম্মতিক্রমেই পাশ হয়েছে। তবে এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়া মানেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হয়ে যাবে এমন আশা দিচ্ছেন না কেউই।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উদ্যোগে ওআইসি’র সব সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নামের প্রস্তাব পেশ করা হয়। সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭তম অধিবেশনে গৃহিত হয় প্রস্তাবটি।

প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়। মিয়ানমারের সেনাশাসন নিয়ে মতভেদ থাকায় শুরু থেকেই সব দেশের ভোট দেওয়া নিয়ে একধরনের শংকা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ