চীনে ৯০ কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১:২২ : পূর্বাহ্ণ

চীনে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। চীনের পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ বা ৯০ কোটিরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে চীনের গানসু প্রদেশ। সেখানকার ৯১ শতাংশ মানুষেরই কোভিড শনাক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইয়ুনান প্রদেশ। সেখানে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় অবস্থানে আছে কিংঘাই প্রদেশ, যেখানে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ।

নতুন চান্দ্র বছরে পল্লী এলাকাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে এবং কোভিড সংক্রমণের তরঙ্গের সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মাস স্থায়ী হবে বলে সতর্ক করেছেন চীনের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং। চীনের রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্রের সাবেক প্রধান জেং গুয়াং আরও বলেন, লাখ লাখ চীনা তাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। যাদের অনেকেই কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বাড়ি যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে চীন। এরপরও চীন করোনা পরিস্থিতির দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু দেশটির বড় বড় হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীর উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে।

এদিকে, চীনের হেনান প্রদেশই শুধুমাত্র তাদের কোভিড আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সবিস্তারে প্রকাশ করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সেখানকার এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, প্রদেশটির ৯০ শতাংশ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছে। একই হার শহর ও গ্রামীণ এলাকায় দেখা যায়।

এছাড়াও নিজস্ব কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ২২টি কোভিড মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে চীনের শশ্মানগুলোতে র্দীঘ লাইন দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই বছর চীনে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা এয়ারফিনিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ জানুয়ারীতে প্রতিদিন মৃত্যু সর্বোচ্চ ২৫ হাজারে দাড়াবে হবে। এছাড়াও ১ ডিসেম্বর থেকে ক্রমবর্ধমান মৃত্যু ৫ লাখ ৮৪ হাজারে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও এয়ারফিনিটির বিবৃতিতে, ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ চীন জুড়ে ১৭ লাখনমৃত্যুর আশঙ্কা করছে।

২০২০ সালে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের সরকারী হিসাবে কারোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪৬ জন। যা বিশ্বের সর্বনিম্ন মৃত্যুর হারগুলোর মধ্যে একটি।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ