প্রশান্তির বৃষ্টিতে স্বস্তি, যেন এক শীতল সমীরণ!


সকালেরসময় রিপোর্ট  ১৫ মে, ২০১৯ ৩:০৩ : পূর্বাহ্ণ

 

প্রখর রোদে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল নগরবাসীকে। আগে থেকেই পূর্বাভাস ছিল বৃষ্টি আসবে। গত তিন ধরে ঘণ্টার হিসাবে এই পূর্বাভাস থাকায় খরতাপে দগ্ধ মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছিল। বহুল কাঙ্খিত প্রশান্তির সেই বৃষ্টি অবশেষে এসেছে। মঙ্গলবার রাত দেড়টার পর চট্টগ্রামে তপ্ত বাতাসকে ঠেলে বিদায় করে প্রথমে জায়গা করে নেয় শীতল সমীরণ। পরে বজ ও বিজলীসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে শুরু হয়।

ধরণী ও হৃদয়মন শীতল করা সেই বৃষ্টি চলছিল। এ বৃষ্টির ফলে গত এক মাস ধরে চলা দাবদাহের আপাতত প্রশমন ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হল। মূলত গত মাসে শুরু হওয়া পয়লা বৈশাখের পর থেকেই চলছিল গরমের এই উত্তাপ। এর মধ্যে ৩ ও ৪ মে ভারত ও বাংলাদেশের ওপর বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় ফণী। নিম্মচাপে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে ফণী চলে যায় ভারতের পূর্বাঞ্চলে। সেই বৃষ্টিও চলে যায়। ফলে ফণীর বিদায়ের পর বৃষ্টিও উধাও হয়ে গিয়েছিল। শুরু হয়েছিল ফণীর আগমনের আগের মতোই চরম অস্বস্তিকর গরম।

গরমে যেন অতিষ্ঠ জনজীবন। সারা রাত ছিল আকাশ টা নিস্তব্ধ । রাত পোহাতে দেখা মিললো মন মাতানো বাতাস। আকাশটা যেন ডাকছে এই বুঝি এলো শান্তির বার্তা নিয়ে বৃষ্টি। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছিল আজই নামতে পারে প্রশান্তির বৃষ্টি। কমতে পারে তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার রাত তিনটা থেকে চট্টগ্রামের আকাশ ঘুমড়ো ছিল। আর রাত শেষ হতে না হতেই ঝড় সহ বৃষ্টি হয়ে গেল। প্রশান্তির বৃষ্টিতে স্বস্তিতে চট্টগ্রাম নগরবাসী। বৃষ্টিতে ঘরে ফেরা মানুষের কিছুটা কষ্ট হলেও হাসিমুখেই সবাই তা মেনে নিয়েছেন। কষ্ট ভুলে গিয়ে ঘরে ফেরা মানুষগুলো প্রশান্তির হাসি হেসেছেন। রোজাদাররা পেয়েছেন আলাদা এক তৃপ্তি।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ