ফের কক্সবাজারে ফণীর আঘাত শুরু, গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার


৩ মে, ২০১৯ ৮:১১ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে ভারতের উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হেনেছে। এদিকে শুক্রবার (০৩ মে) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ কক্সবাজারে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। উপগ্রহ চিত্র বলছে, ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে ‘ফণী’। সন্ধ্যা ৬র পর যে কোন একটি সময় এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের পর প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।

তবে এ সময় বাতাসে উল্লেখযোগ্য গতিবেগ ছিল না। কিন্তু উপকূলে মাঝারি বেগে বাতাস প্রবাহিত হবার পাশাপাশি জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অমানিশার কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ছে বলে দাবি করে জেলেরা জানান, কক্সবাজারের উপকূলে জোয়ারের পানি বাড়লেও শুক্রবার সকাল হতেই বিগত দিনগুলোর মতোই ঝলমলে আকাশে বৈশাখের দাবদাহ চলছিল।

তবে মাঝে মাঝে সাদা উড়ন্ত মেঘ সূর্যকে অল্পক্ষণ ঢেকে রেখে লুকোচুরি খেলেছে সারাদিন। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, সন্ধ্যা হতে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে দ্বীপ এলাকায়। আছরের নামাজের শেষে উপজেলার দুর্গম এলাকার দুর্যোগপ্রবণ এলাকার হাজারাও মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদেরও প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম জানান, বৃষ্টিপাত শুরু হলেও শুধুমাত্র রাজাখালী ও টেইটং থেকেই লোকজনকে দিনের আলোতে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেসব এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নিকটবর্তী সেসব এলাকার স্বেচ্ছাসেবক ও লোকজন নিজেরাই তৈরি হয়ে আছে। প্রয়োজন পড়লেই তারা নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরবে।

আরেক দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন ধলঘাটার অধিকাংশ লোকজন আগেই চকরিয়া কিংবা কক্সবাজারে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। বাকি যারা রয়েছেন তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার পরিকল্পনায় প্রস্তুত রয়েছেন।

ঝড়ো হাওয়ায় বৃষ্টি শুরু হলেও সংকেত স্বাভাবিক থাকায় তেমন আতঙ্ক নেই। এদিকে ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবের প্রভাবে বজ্রপাত ও গাছ উপড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে ৮ জন ও উড়িষ্যায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page