খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে যা জানাল আইনমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক  ১৮ মার্চ, ২০২৪ ২:৩৭ : অপরাহ্ণ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে আবেদন করেছেন তার ভাই শামীম ইস্কাদার। পরে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। বর্তমানে আবেদনের কপিটি আইনমন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসা করাতে পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। এ ছাড়া স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।

সম্প্রতি স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। এক দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল বোর্ড আবারও বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সে দিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। দুটি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান। তার মুক্তির দুই শর্তে রয়েছেন, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page