সেই মোহাম্মদ আলীর পাঁচলাইশের বাড়ি জব্দের নির্দেশ


নিউজ ডেস্ক  ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৪৭ : পূর্বাহ্ণ

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার দায়ের করা অর্থঋণ জারি মামলায় চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইমাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী জেবুন্নেসার বসত বাড়ি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত। একই আদেশে সম্পত্তির ৪টি দৃশ্যমান স্থানে ক্রোক আদেশ সংবলিত ৪টি সাইন বোর্ড স্থাপনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ডিক্রিদার আইএফআইসি ব্যাংক আবেদন করলে শুনানি শেষে নগরের পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকার ৮নং রোডের ৯৭নং হোল্ডিং এর জে.বি হাউস নামের বিলাসবহুল দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট বাড়িটি ক্রোক করার আদেশ দেন বিচারক মুজাহিদুর রহমান।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালে ৬১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করার জন্য অর্থঋণ আদালতে মামলা করে আইএফআইসি ব্যাংক। ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট ওই মামলায় ডিক্রি ঘোষণা করার পর ১৪১ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৭১ টাকা দাবিতে জারি মামলা দায়ের ডিক্রিদার ব্যাংক।

মামলা চলাকালে ডিক্রিদার ব্যাংকের আবেদনে ইমাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আকতার এবং ছেলে আলী ইমামের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন অর্থঋণ আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আলী ইমাম হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলা দায়ের করলেও অর্থঋণ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

প্রতারণামূলকভাবে অন্যের সম্পত্তি বন্ধক রেখে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছিলেন মেসার্স আলী এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ আলী। বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় করা সম্ভব না হওয়ায় দুবাই পলাতক মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রীর বসতবাড়ি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র আরও জানায়, ইমাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ আলীর ১০টি মামলায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা খেলাপি ঋণের দায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page