পূর্বাঞ্চল রেলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম)-সহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ২০১৭ সালে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সিপাহি নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি করে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। রোববার জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এ বাদী হয়ে মামলাটি করেন ঢাকার দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারার অভিযোগ আনা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম-১-এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
মামলার প্রধান আসামি হলেন- আরএনবির সাবেক কমান্ড্যান্ট মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর আসামি সাবেক কমান্ড্যান্ট মো. আশাবুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত আছেন। ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক কমান্ড্যান্ট ফুয়াদ হাসান পরাগকে। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
একইসঙ্গে ৪ নম্বর আসামি পূর্বাঞ্চলের সাবেক এসপিও সিরাজ উল্যাহ এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়া সাবেক চিফ কমান্ড্যান্ট মো. ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অপরাধ প্রমাণিত হলেও তিনি মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, সিপাহী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই আরএনবি সিপাহী নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ২০১৭ সালে সিপাহি (আরএনবি) চতুর্থ শ্রেণির ১৮৫টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়া হয়। একই বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে বা অন্যকে লাভবান করার অসাধু অভিপ্রায়ে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, সদস্য ও অনুমোদনকারী হিসেবে ন্যস্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ দেয়া হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, অসৎ উদ্দেশ্যে বিশেষ কোটার যেমন— মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটার প্রার্থীদের পাসের কাছাকাছি নম্বর দিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ দেখিয়ে উক্ত কোটায় পছন্দের প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় পাস দেখান তারা। চাকরি দেওয়ার সুযোগ করে দেয়া এবং বিভাগীয় কোটা, জেলা কোটা, পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা বিধি মোতাবেক যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
এসএস/ফোরকান