চাঁদাদাবির ৭০ লাখ টাকা আদায়ের পর,আরও ৩০ লাখের জন্য গুলি


২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ৪:১৩ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় ডেস্ক:: চট্টগ্রাম শহরে নিজের জমিতে বাড়ি করতে যাওয়া এক প্রবাসীকে গুলি করে ‘চাঁদাদাবির ৭০ লাখ টাকা আদায়ের পর’ আরও ৩০ লাখের জন্য আগ্রাসী হওয়ার অভিযোগের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- দেবাশীষ নাথ দেবু (৪৮) ও এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে রতন (৫০)। দুজনই চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। বন্ধন নাথ নামে এক কুয়েত প্রবাসীর মামলার ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে নগরীর সাগরিকা ও মুরাদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন।

তিনি সকালেরসময়কে, শুক্রবার রাতে দায়ের করা এই মামলায় দেবু ও রতনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- একেএম নাজমুল আহসান, আবু নাছের, ইদ্রিস মিয়া ও মো. জিয়া। এদের মধ্যে নাজমুল পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্যরাও ক্ষমতানী দলের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মামলার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেইটের পেছনে বন্ধন নামের ওই প্রবাসীর নয় গণ্ডা (৫৪ শতাংশ) জমি রয়েছে। সেখানে বাড়ি নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজাইন সোর্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি।

সেখানে বাড়ি করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের এই নেতারা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকার জন্য সে বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ডিজাইন সোর্স লিমিটেডের মালিক মেহেদি ও আমাকে ওই জায়গায় আটকে ফেলে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দেবু ও রতনসহ অন্যরা আমাকে মারধর করে এবং নাজমুল আমার পিঠে দুটি গুলি করে, বলা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বলা হয়, ওই ঘটনার পরদিন ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বন্ধনের পক্ষে পাঁচটি চেকের মাধ্যমে আসামিদের ৭০ লাখ টাকা দেয়। এছাড়া চাঁদাবাজরা তার কাছ থেকে তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

বন্ধন বলছেন, এই ঘটনার তিনি আবার কুয়েতে যান এবং সেখানকার আয় দিয়ে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ওই টাকা পরিশোধ করেন। এদিকে চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ কাজ না হওয়ায় গত বছর ৫ জানুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন তিনি। নতুন করে তার পরিচিত অপর পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে ভবন নির্মাণে নতুন চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী কাজ শুরুর জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই জায়গা পরিষ্কার করতে গেলে আসামিরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে আরও ৩০ লাখ টাকা দাবি করে, বলেন বন্ধন। তিনি মামলার সঙ্গে পাঁচ আসামির টাকা নেওয়ার ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন বলে জানান ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ।

সকালেরসময়কে, তিনি বলেন, রতন ও দেবুকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের ধরতেও অভিযান চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page