রিমান্ডে স্বীকারোক্তি: বিদেশে ৩৪ কোটি টাকা পাচার করেছে আবজাল


সকালের-সময় রিপোর্ট  ৬ অক্টোবর, ২০২০ ১১:৩৬ : পূর্বাহ্ণ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (মেডিক্যাল এডুকেশন শাখা) বরখাস্ত হওয়া হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। নিজ নামে ও স্ত্রী রুবিনা খানমের নামে ওই তিন দেশে দিনের পর দিন টাকা পাচার করে গেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও রিমান্ডে আবজালের স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

রিমান্ডে দেওয়া আবজালের বক্তব্য এবং তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবজাল হোসেন মালয়েশিয়ার মাইব্যাংক ইসলামিক বারহাদ নামের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম হিসাবে (হিসাব নম্বর-৫৬২৩০২৬০৯৮০৫) ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ মালয়েশিয়ান রিংগিত জমা করেন।

একই সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ সহায়তায় স্ত্রী আসামি রুবিনা খানমের নামে মালয়েশিয়ার সিআইএমবি ব্যাংকের চারটি হিসাবে ২০১৩ সালের ২২ মে থেকে ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোট ২২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ রিংগিত বাংলাদেশ থেকে জমা করেন। রিমান্ডে আবজাল তা স্বীকারও করেছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৫১ লাখ টাকার বেশি।

অনুরূপভাবে আবজাল হোসেন কানাডার টরন্টোর স্কার্বরায় দ্য টরন্টো ডমিনিয়ন ব্যাংকে ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২ লাখ ২৩ হাজার ৬৫৫ দশমিক ৫০ কানাডিয়ান ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করেন। পরে তা কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেন। অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করা তিন লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ কানাডিয়ান ডলার দিয়ে সেখানে বাড়িসহ অন্যান্য সম্পদ গড়েন আবজাল দম্পতি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে জানা যায়, আবজাল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকিং করপোরেশনের দুটি হিসাবে, অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং গ্রুপ লিমিটেডের একটি হিসাবে এবং কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার তিনটি হিসাবে ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৭ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাচার করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার বেশি।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ