নিপাহ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু–খেজুরের রস পানে সতর্কতা


নিউজ ডেস্ক  ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ৮:৪৯ : অপরাহ্ণ

দেশে প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার আগে ওই ব্যক্তি খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলেন। আর খেজুরের রস থেকেই তার এ সংক্রমণ হয়েছিল। তাই কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া থেকে সতর্ক হওয়ার পরার্মশ দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে শীতকালের সাধারণ রোগবালাই ও নিপাহর সংক্রমণ নিয়ে এক সেমিনার আয়োজন করে সরকারের আইইডিসিআর। সেখানেই নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

আইইডিসিআর জানায়, মৃত ব্যক্তি রাজশাহীর বাসিন্দা। ওই নারীর কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ইতিহাস ছিল। এর আগে ২০২২ সালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তিনটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। যার মধ্যে দুই জন মারা যান। এদের একজন ছিলেন নওগাঁর, অন্যজন ফরিদপুরের।

অনুষ্ঠানে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, নিপাহ আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার অনেক বেশি।বাদুরের মূত্র বা লালার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। বাদুর যখন খেজুরের রস খায়, তখন তার দ্বারা সেটি ‘ইনফেকটেড’ হয়ে যায়। মানুষ সেই রস কাচা খেলে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্য ও পরিচিতরা আক্রান্ত হয়। তাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মীরাও আক্রান্ত হতে পারেন।

আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৭১ শতাংশ মানুষ মারা যায়। তাই কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

তিনি পরামর্শ দেন, কাচা খেজুরের রস ও বাদুরের অর্ধেক খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। সম্মেলনে বক্তারা জানান, দূষিত খেজুরের রস খাওয়ার পর নিপাহ আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দিতে পর ৮-৯ দিন লাগতে পারে। অন্যদিকে, ইতোমধ্যে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেয় ৬-১১ দিন পর।

আইইডিসিআর গবেষকদের মতে, খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খেলে তা নিরাপদ, গুড়-ও নিরাপদ। সংস্থাটি গাছীদের রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শও দিয়েছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ