কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিকিৎসকের কাছে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম্য দাঁতের ডাক্তার আয়ুব খান পলাতক রয়েছে। আয়ুব চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লক্ষ্যারচর কাজি পাড়ার বাসিন্দা।
ঘটনার শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, শুক্রবার বিকেলে দাঁতের চিকিৎসা নিতে স্বামীসহ চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলায় আয়ুব খানের চেম্বারে যাই। চিকিৎসার শুরুতে আমার চারমাস বয়সী শিশু কান্না শুরু করলে আমার স্বামী শিশু সন্তানকে নিয়ে বাইরে গেলে ডাক্তার আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আমাকে ধর্ষণ করা চেষ্টা করে।
এসময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে মুখ চেপে ধরে। আধঘণ্টা ধরে চিকিৎসার ফাঁকে ফাঁকে আমাকে বিভিন্নভাবে যৌন হেনস্থা করেন তিনি। পরে আমার স্বামী ছাড়া চিকিৎসা নিতে আসার জন্য বলেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করেন।
পরে বাড়ি পৌঁছার পর সন্ধ্যায় এ ঘটনা আমার স্বামীকে খুলে বলি। ভিকটিমের স্বামী বলেন, এ ঘটনা জানার পর স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানাই। পরে থানায় মৌখিকভাবে জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত আয়ুব পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুলতলা এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ‘তার (ডাক্তার) বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা নিতে আসা নারীদের হেনস্থার অভিযোগ শোনা যেত। কেউ সাহস করে অভিযোগ দেয়নি।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহ রয়েছে। এরপরও তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।