মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু


সকালের-সময় রিপোর্ট  ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:৩৭ : অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকার মসজিদে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানান।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। তবে দগ্ধ হয়ে যারা এখানে ভর্তি আছেন তাদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নয়। বেশিরভাগেরই পুড়ে যাওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। অনেককে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর আগে গভীর রাতে জুয়েল নামের সাত বছরের এক শিশু মারা যায় বলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিশ্চিত করেছিলেন। শিশুটির শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এশার জামাত শেষ হওয়ার পর তল্লার সবুজবাগের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসির বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩৭ জন গুরুতর দগ্ধসহ মসজিদে সুন্নত নামাজ আদায়রত সবাই দগ্ধ হন। গুরুতর দগ্ধদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, তাদের শরীরের ৩০ থেকে ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, মসজিদটির নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইন নেওয়া হয়েছে। সেই পাইপে ছিদ্র হয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। পুরো মসজিদ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সব জানালা বন্ধ ছিল। এ কারণে গ্যাস বাইরে বের হতে পারেনি। ওই অবস্থায় কেউ মসজিদের ভেতরে এসি বা ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার সময় সৃষ্ট ছোট্ট স্ফূলিঙ্গ থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এতে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায় ও মুসল্লিরা দগ্ধ হন। আগুনে মসজিদের ছয়টি এসিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ও মণ্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। পরে মসজিদের মেঝেতে পানি ছিটিয়ে গ্যাস নির্গত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page