ভাসানচর পরিদর্শনে ৪০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি


সকালের-সময় রিপোর্ট  ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ৪:৪৩ : অপরাহ্ণ

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা আবাসন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়েছেন ৪০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আজ শনিবার সকালে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতাকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মাহবুবুল আলম তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্যদের গতকালই উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে মেডিকেল চেক-আপসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। পরে শনিবার ভোরে তারা সেখান থেকে রওয়ানা হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে সেখানে আগে থেকেই একজন অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে অবস্থান করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ভাসানচরে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ভাসানচরে ইতিমধ্যে ৩০৬ রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। তারা বেশ ভালোই আছেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রথমে তারা বাস যোগে চট্টগ্রাম যাবেন।

সেখান থেকে নৌবাহিনীর সহায়তায় জলযানে ভাসানচরে পৌঁছাবেন। প্রতিনিধি দল সাত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। পরিদর্শন শেষে আট সেপ্টেম্বর তারা ক্যাম্পে ফিরে আসবেন। ক্যাম্পে ফিরে তারা রোহিঙ্গাদের কাছে সেখানকার অবস্থা বর্ণনা করবেন। প্রতিনিধি দলে থাকছেন বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি, মাঝি এবং মসজিদের ইমাম।

আরআরআরসি মাহবুব আলম তালুকদার জানিয়েছেন, ভাসানচরে যাওয়ার সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সরেজমিনে ভাসানচর আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। সেখানকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানবেন। প্রতিনিধি দলের কাছে ভাসানচর পরিস্থিতি অবহিত হয়ে শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে আগ্রহী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি ক্যাম্পে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদেরকে খোলামেলা পরিবেশে রাখার জন্য বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে সরকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করেছে। এতে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারবে।

আবাসন প্রকল্প ঘিরে প্রায় ১৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ১২০টি সাইক্লোন সেন্টার, প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও চিকিৎসা অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
বর্তমানে ৩০৩ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছে। যারা বিভিন্ন সময় সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় বঙ্গোপসাগর হতে উদ্ধার হয়েছিল। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এসব রোহিঙ্গাদের তত্বাবধান করে আসছিল।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page