ত্রানের জন্য বানভাসি মানুষের হাহাকার


নিজস্ব প্রতিবেদক ২১ জুন, ২০২২ ১:৪৭ : অপরাহ্ণ

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার পাঁচ দিন কেটে গেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যা দুর্গত কিছু কিছু জায়গায় বন্যার্তদের কাছে কোনে ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

অবশ্য সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান সর্বত্র ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করে বলেন, হঠাৎ ভয়াবহ বন্যা দেখা দেওয়ায় শুরুর দু-একটা দিন জলযানের সংকটে ত্রাণ পৌঁছাতে সমস্যা হয়েছিল। এখন সে সমস্যা কেটে গেছে। ত্রাণের কোনো সংকট নেই। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনও বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের গাদাগাদি। থাকার জায়গার সংকটের পাশাপাশি খাবার ও বিশুদ্ধ পানিও অপ্রতুল। সরকারি ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়। ব্যক্তিগত সহায়তায় চিড়া-মুড়ি খেয়ে পার করছে মানুষ। বেশির ভাগ মানুষেরই কিছু কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই। দুর্গতরা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবি জানিয়েছে।

সুনামগঞ্জে পানির তীব্র সংকট নিরসনসহ দুর্গতদের সহায়তায় কাজ করছে বিজিবি। মৌলভীবাজারে আশ্রয়ণের ঘর তলিয়ে যাওয়ায় নারী-শিশু-বৃদ্ধরা বাঁধে উঠেছেন। হবিগঞ্জে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি। শেরপুরে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি। জামালপুরে পানি বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

হবিগঞ্জের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে নেই বিদ্যুৎ। নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।

রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের অনেক এলাকা বন্যাকবলিত। কোথাও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেসব জায়গায়ও দুর্গত মানুষের ত্রাণের চাহিদা বাড়ছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page