ডিসি স্যার খুব ভালো, আমি নির্দোষ: সাধনা


সকালের-সময় রিপোর্ট ২৭ আগস্ট, ২০১৯ ৬:২৫ : পূর্বাহ্ণ

জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের ভিডিও কেলেঙ্কারী সর্বত্র আলোচনায়। সেখানে বিশ্রামকক্ষে দৃশ্যমান নারীকর্মীকে নিয়ে রয়েছে বিস্তর কৌতুহল। বিব্রতকর এ পরিস্থিতিতে ডিসি অফিসের সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নিজেকে আড়াল করতেই ব্যস্ত। কর্মস্থলে কার্যত অনুপস্থিত। রবিবার তিনি অফিস করেননি। সোমবার স্বল্প সময়ের জন্য অফিসে গিয়ে জমা দিয়েছেন ছুটির দরখাস্ত। এ সময় মিডিয়া কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

সূত্র জানায়, আলোচিত নারী সাধনা ডিসি কবীরের সাথে কতোটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন তা সকল সহকর্মী অবগত। বর্তমান অবস্থায় কেউ সহযোগিতা করতে রাজি নন সাধনাকে। সোমবার অফিসে ঢুকতেই বৈরী অবস্থার মুখোমুখি হন তিনি। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা তাকে অপদস্থ করেন। কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সামলে তাকে দ্রুত চলে যেতে পরামর্শ দেন।

সোমবার অসুস্থতার কথা জানিয়ে ছুটির আবেদন করেন সাধনা। সে সময় তিনি কিছুক্ষন মেঝেতে শুয়ে থেকে অসুস্থতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত অন্যরা বিষয়টিকে ভনিতা হিসেবে অভিহিত করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাধনা যখন অফিস ত্যাগে ব্যস্ত, তখনই কয়েকজন সাংবাদিক তাকে ঘিরে ধরেন। নানামুখী প্রশ্নের জবাব এড়াতে হিমশিম খান তিনি।

ঘটনা প্রসঙ্গে সাধনা বলেন, আমি কিছুই জানিনা। ষড়যন্ত্র করে ভিডিও করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। কিন্তু স্যারের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। স্যার খুব ভালো মানুষ। স্যার আমার কোনো ক্ষতি করেন নাই। আমার আর বাঁচার কোনো ইচ্ছা নাই। শুধুমাত্র আমার এতিম সন্তানের দিকে তাকাইয়া বেঁচে আছি। আমাকে আপনারা বাঁচার মতো কোনো ব্যবস্থা করে দিয়েন।

দ্রুত কথাগুলো বলে সাধনা একটি রিকশা ডেকে অফিস ত্যাগ করেন। ভিডিও কেলেঙ্কারির বিষয়ে ডিসি অফিসের লোকজন মুখ খুলছেন না সহজে। ভিডিও ক্লিপিংসে ঘরটি ডিসি অফিসের, সেখানে অবস্থান করা দুজন ডিসি কবীর ও নারীকর্মী সাধনা বলে নিশ্চিত করেছেন অনেকে। তবে পরিচয় প্রকাশ করে তারা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে রাজি নন। এমনকি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের যে ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয়,তিনিও প্রকাশ্যে আসছেন না।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page