চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন।


৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ৩:৫৮ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় পটিয়া প্রতিনিধি:: চট্টগ্রাম দোহাজারী রেললাইনের পটিয়া দক্ষিন ভুর্ষি বেলতল এলাকায় শনিবার দুপুর ৩টার সময় এক স্কুল ছাত্রীকে চুরি দিয়ে জবাই করে খুন করেছে তার প্রেমিক। নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম রিমা আক্তার (১৩)। সেই পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী এবং হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মাহাধাম পাড়া এলাকার মঞ্জুরুল আলমের মেয়ে।

পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে খুন হওয়া স্কুল ছাত্রীর লাশ এবং আহত প্রেমিক কে উদ্ধার করে। নিহত ছাত্রীটির লাশের পাশ থেকে প্রেমিক যুবককে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে চমেকে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। মুমুর্ষ যুবকটির নাম মাসুদ (১৭)। সেই রাজমিস্ত্রী কাজ করতো। তার বাড়ি পটিয়া পৌর সদরের ৯ নং ওয়ার্ডের ফইল্লাতলি এলাকায় আসার বাপের বাড়ীর বুইড়গার ছেলে ।

রেজিমন ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের পাশে পটিয়া উপজেলার দক্ষিনভূর্ষি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড় এলাকায় বেলতল নামক স্থানে নিহত স্কুল ছাত্রীর গায়ের উপর যুবকটি মুমূর্ষবস্থায় পরে রয়েছে। যুবকটি নড়চড়া করলেও মেয়েটির নিথর দেহ মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। নিহত স্কুল ছাত্রীটির পড়নে ছিল স্কুল ইউনিফর্ম নীল রঙ্গের কামিজ ও সাদা রংয়ের পায়জামা। মেয়েটির গলার ডান পাশে জবাই করার স্থান থেকে রক্তক্ষরন হচ্ছিল।

মেয়েটির মুখে পাচঁ-ছয়টি চুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যুবকটির গলাও চুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছেলেটির হাতটি রক্তাক্তবস্থায় দেখা গেছে। হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিতের কান্তি গুহ সকালেরসময়কে জানান, আমি আজ বিদ্যালয়ে সকাল ১১টার পর্যন্ত ছিলাম কিন্তু মেয়েটির অভিভাবকের সাথে কথা বলে জেনেছি সেই স্কুল উদ্যেশে বের হলে কিন্তু স্কুলে অনুপস্থিত পরে পুলিশের কাছে শুনতে পারি মেয়েটিকে এক যুবক ছুরি মেরে হত্যা করে।

পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ সকালেরসময়কে জানান, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনা আত্বহত্যা হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে। বেঁচে থাকা যুবকটিকে মুমূর্ষবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলটি রেলওয়ে পুলিশের আওতায় হওয়ায় জিআরপি থানা পুলিশ তদন্ত করে দেখবেন। চট্টগ্রাম জেলা রেলওয়ে পুলিশের ওসি মোস্তাফিজ ভূইয়া জানান, লাশটি বর্তমানে পটিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে তদন্ত করে দেখব কি কারনে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page