খুলনার জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওসি ওসমান গনি ওই পরিবারকে মোটা অংকের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৫ আগস্ট) ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
ধর্ষিত ওই নারীর ভগ্নিপতি জানান, গত শুক্রবার (২ আগস্ট) তার ছোট শ্যালিকা যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গনি পাঠান এবং পরে আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধর্ষণ করে।
পরদিন ওই নারীকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।
খুলনা জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি এঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, মাদক মামলা থেকে রেহাই পেতে ওই নারী এধরনের অভিযোগ তুলছেন।