ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আব্দুল হান্নান (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তার এক নিকট আত্মীয়।
মসজিদের ছয়টি এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কীভাবে একসঙ্গে বিস্ফোরিত হলো, তার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জিল্লুকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ৩৭ জন জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন।
ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন জানান, ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের পরপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায়, মসজিদের ভেতরে পরপর ছয়টি এসি একইসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়েছে।
এসি বিস্ফোরণের কারণে মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিরা দগ্ধ হয়েছেন। কীভাবে একই সময় একই সঙ্গে ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হলো, এটা তদন্তের পর বলা যাবে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জিল্লুকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ওই মসজিদে কোনো গ্যাসের লাইন ছিল কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। কারণ, মসজিদের ভেতরে জমে থাকা পানি থেকে বুদবুদ শব্দ হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সব কিছুই দেখছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে ছয়টি এসি বিস্ফোরিত অবস্থায় আমরা পেয়েছি। এছাড়া রাতেই মসজিদটি সীলগালা করে দিয়েছে পুলিশ।
এসএস