মাত্র সাড়ে পনেরো কিলোমিটার সড়ক বদলে দিয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার মানুষের জীবনযাত্রা। এই সড়ক ব্যবহার করে এই দুই জেলার মানুষ সহজে যাতায়াতের পাশাপশি উৎপাদিত পণ্য পরিবহণ করতে পারছে।
সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধায়নে ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটিলিয়ন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগেই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।
দূর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির মহলছড়ি সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়ার আকাবাকা এই সড়ক দেখে মন জুড়িয়ে যাবে। এরই সড়ক নির্মাণের পর রাঙ্গামাটি থেকে ঢাকার দূরত্ব কমেছে ৬৮ কিলোমিটার। আর সহজ হয়েছে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ির মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ।
সেনাবাহিনীর করা সাড়ে ১৫ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন সড়কটিতে ২৪ কিলোমিটার সাইড ড্রেন, ২৮ মিটার কালভার্ট, ৪শ’ ১০ মিটার গ্রাভিটি ওয়াল ও ৬শ’ ৩০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান জানান, আমাদের পার্বত্য জেলাগুলোকে একটি রোডনেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
সড়কটি নির্মাণের পর পর্যটনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের সম্ভাবনা কয়েকগুন বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্প পরিচালক ও অধিনায়ক ২০ ইসিবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন দীদার জানান,’সরাসরি চট্টগ্রামে না যেয়ে রামগড়কে ব্যবহার করে খাগড়াছড়ি বা রাঙ্গামাটিতে চলে যাওয়া যাবে।
প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এস এম খালেদুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিবেশের ক্ষতি না করে রাস্তা নির্মাণ করেছি। পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এই সড়ক।
এসএস