বিষয় :

সাড়ে তিন লাখ প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন বাড়ছে


২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ৪:০৬ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা কল্যাণমুখী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের বেতন গ্রেডসহ শিক্ষা খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে, আগামী মেয়াদে তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এবার প্রাথমিক স্তরের প্রধান শিক্ষকদের এই গ্রেড বৈষম্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ নিয়ে একাধিক সভাও হয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে বেতন পাবেন। একইসঙ্গে বৈষম্য কমবে সহকারী শিক্ষকদেরও। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গ্রেড বৈষম্য কমানো হলেও এসব শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি পাবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। এমনকি ৩৪তম বিসিএস থেকে যখন দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় তখন সবাই দশম গ্রেড পেলেও শুধু সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পেয়েছেন ১১তম গ্রেড। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেডসহ বৈষম্য নিরসনের কথা বলা হয়েছে। তাই মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সহকারী শিক্ষকদের সাথে প্রধান শিক্ষকদের বৈষম্যই শুধুই কমছে না। মাধ্যমিক স্তরের সহকারী শিক্ষকদের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে গ্রেড বৈষম্য রয়েছে তাও কমবে। বর্তমানে প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষক বেতন পান ১২ তম গ্রেডে (১১৩০০ টাকা বেতন স্কেল) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১তম গ্রেডে (১২৫০০ টাকা বেতন স্কেল)। আর প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষক ১৫ তম গ্রেডে (৯৭০০ টাকা বেতন স্কেল) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে (১০২০০ টাকা বেতন স্কেল) বেতন পান।

প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের বেতনের পার্থক্য তিন ধাপ। সহকারী শিক্ষকরা এই পার্থক্য কমানোর দাবিতে আন্দোলনও করেছেন। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডও উন্নীত হবে। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আমাদের দাবি প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেড। প্রধান শিক্ষকরা ১১ তম গ্রেড হলে আমাদের দাবি ১২ তম। আর প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে পৌঁছলে আমাদের ১১তম গ্রেড দিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page